Header Ads

JAHANARA HUQ MOHILA COLLEGE

জাহানারা হক মহিলা কলেজ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কী বুঝায় | এর প্রকারভেদ ও সুবিধা অসুবিধা বর্ননা |

 

এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে

১।  ডেটা বা তথ্য বলতে কি বোঝায় ব্যাখ্যা করতে পারবে।

২। তথ্য প্রযুক্তি বলতে কি বোঝায় ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৩। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৪। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা- অসুবিধা ব্যাখ্যা করতে পারবে।


তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের ডেটা ও ইনফরমেশন বা তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ডেটা (Data): কোনো নিদির্ষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার লক্ষ্যে প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে ডেটা। ডেটা সাধারনত এক বা একাধিক বর্ন, চিহ্ন বা সংখ্যা বিশিষ্ট হতে পারে। অধিকাংশ লেখকের মতে ডেটা প্রধানত তিন ধরনের যথা।

১. নিউমেরিক ডেটা (Numeric Data) : যেসকল ডেটা কোনো পরিমান বা সংখ্যায় প্রকাশ করে না তাদেরকে নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন-২০, ১০০, ১৫০, ১২০.৭৫ ইত্যাদি। নিউমেরিক সংখ্যা দুই প্রকার ১। পূর্ন সংখ্যা ২। ভগ্নাংশ সংখ্যা

২. অ-নিউমেরিক ডেটা (Non-Numeric Data) : যেসকল ডেটা কোনো পরিমান বা সংখ্যা প্রকাশ করে না  তাদেরকে অ-নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন M, X, a, p ইত্যাদি ক্যারেক্টর কিংবা মানুষ, দেশ , জীবিকা, জাতি ইত্যাদি।

৩. বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডেটা (Boolean Data) : যেসকল ডেটা শুধুমাত্র দুটি অবস্থা থকতে পারে যেমন- সত্য বা মিথ্যা, হ্যাঁ বা না, ০ অথবা ১ ইত্যাদি ডেটাকে লজিক্যাল ডেটা বা বুলিয়ান ডেটা বলা হয়।

তথ্য (Information):  ডেটাকে কোনো নিদির্ষ্ট গঠনে সাজিয়ে তার উপর প্রক্রিয়াকরণ করে যে র্কাযকর ও অর্থপূর্ন ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে। এক কথায় তথ্য হচ্ছে সহজে ব্যবহারযোগ্য ও সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো ডেট। যা সহজে সঠিক স্থানে ব্যবহার যোগ্য।

 

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ডেটা বা তথ্যকে সংগ্রহকরন, সংরক্ষণকরন, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্থাপনা করা তথ্য একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য কোনো মিডিয়াতে আদান-প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শব্দটি সামগ্রীকভাবে বুঝার জন্যতথ্য, যোগাযোগ, প্রযুক্তি এই তিনটি শব্দ দ্বারা কী বুঝায় তা বিশেষভাবে জানা প্রয়োজন।



 তথ্য বলতে কী বুঝায়?

যেকোনো ডেটা বা উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ পরে অর্থপূর্ণ রূপ হলো তথ্য বা ইনফরমেশন। তথ্য যা দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারণা পাওয়া যায়। প্রত্যহিক জীবনে চলতে গিয়ে মানুষ দৈনিন্দ দিনের বিভিন্ন কাজে ইনফরমেশন বা তথ্য ব্যবহার করে।



 যোগাযোগ বলতে কী বুঝায়?

আধুনিক প্রযুক্তির কোনো বিশেষ যন্ত্রের বা ডিভাইসের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে এক স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে তথ্য আদান-প্রদান করাই হলো যোগাযোগ। যেমনঃ টেলেফোন বা মোবাইল ফোনে কথা বলা, ই-মেইল করা, মেসেজ করে বার্তা পাঠানো ইত্যাদি।

 প্রযুক্তি বলতে কী বুঝায়

আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ফর্মূলা প্রয়োগ করে যখন নতুন কোনো কিছু উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করা হয় এবং সেই প্রযুক্তি মানব ক্যালানে ব্যবহার করা হয় তখন সেই উদ্ভাবন  বা আবিষ্কারকে বলা হয় প্রযুক্তি। যেমন- আধুনিক প্রযুক্তির স্মাট ফোন, টিভি, কম্পিউটার, লেপটপ ইত্যাদি হল বিভিন্ন প্রযুক্তি।

ভিন্নভাবে বলা যায়, প্রযুক্তি হলো বিজ্ঞান নির্ভর এমন একটি শাখা যেখানে প্রকৌশল এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞান নিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা

 তথ্য প্রযুক্তি বলতে কী বুঝায়

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়নমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার একটি সমন্বিত ব্যবস্থা। মানুষের তথ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। পাশাপাশি আধুনকি প্রযুক্তির স্মাট ফোন ও এর সাথে ইন্টারনেট এর ব্যপক প্রসার ও ব্যবহার এর ফলে বিশ্ব বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি, রাজনীতি তথা পরিবেশ সম্পর্কৃত তথ্য এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাই যোগাযোগ প্রযুক্তির ছাড়া শুধু মাত্র তথ্য প্রযুক্তির জন সাধারনের এই চাহিদা যোগান দিতে পারবে না। অতএব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি উভয়ের উন্নয়নের ফলে মানুষের এ চাহিদা পূরণ হচ্ছে।  

 যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কী বুঝায়

একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি। অন্যভাবে বলা যায়, ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি। 


তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রকারভেদ

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

কম্পিউটিং ইনফরমেশন সিস্টেমঃ কম্পিউটিংসহ সকল  ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং; যেখানে  কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এক্সপার্ট সিস্টেম ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়।

ব্রডকাস্টিংঃ রেডিও এবং টেলিভিশন যা বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে একমুখী তথ্য সম্প্রচার করে থাকে

টেলিকমিউনিকেশনসঃ ফিক্সড টেলিফোন মোবাইল বা সেলুলার ফোনসহ সকল ধরণের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উভয়মূখী ডেটা কমিউনিকেশন করে থাকে।

ইন্টারনেটঃ ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিসতৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমম্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনেট কে যোগাযোগ ব্যবস্থা   বলা হয়।

 

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা

·         তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে পারিবারিক বা ব্যবসায়িক সদস্যদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা যায়।

·         ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে অটোমেটেড বা ডিজিটাল করেছে। ফলে কম খরচেই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।

·         অফিসে না গিয়ে অফিসের কাজ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে করা যায়।

·         যেকোন জায়গা থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান বা গ্রহণ করা যায়।

·         অফিসের কার্যক্রমকে সহজ করেছে।

 

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধা

·         তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে।

·         উন্নয়নশীল উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।

·         হ্যাকিং প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

1 টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.