Header Ads

JAHANARA HUQ MOHILA COLLEGE

জাহানারা হক মহিলা কলেজ

শিক্ষা | দূরশিক্ষন | ইবুক | ই-লার্নিং| অনলাইন লাইব্রেরি | শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা |

 

এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে

১। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে।

২। দূরশিক্ষন কি ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৩। ই-বুক কি বোঝতে পারবে।        

৪। ই-লার্নিং কি ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৫। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে।

 

শিক্ষাঃ

বিশ্বগ্রাম ধারণার একটি বিশেষ উপাদান হলো তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি যা শিক্ষা বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ন ভমিকা পালন করে। ফরমাল শিক্ষা এবং নন-ফরমাল শিক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই পদ্ধতি একটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থায় পৃথিবীর সর্বত্র শিক্ষার আদি ধ্যান ধারণার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় ও নিত্যনতুন তথ্য জানতে পারছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে লাইব্রেরির বইপত্র সহ যেকোনো তথ্য পড়তে সক্ষম হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনলাইলেন মাধ্যমে বহুনিবার্চনী প্রশ্নের পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের মেধাকে যাচাই করে নিতে পারছে।

 


দূরশিক্ষন কী ?

বিশ্বগ্রাম ধারণায় বর্তমানে কোনো শিক্ষা গ্রহনের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রাম থেকে শহরে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হয় না। এতে সময়, অর্থ, পরিশ্রম, ইত্যাদি সাশ্রয় হয়। একজন শিক্ষক ঘরে বসেই ভিডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতিতে কিংবা বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও কনটেন্ট বা টিউটোরিয়াল তৈরির পর অনলাইনে শেয়ার করে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে, বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ার সাহায্যে লাইভ ক্লাস, ইত্যাদি মাধ্যমে শিক্ষা দান করতে পারচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরাও ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহন করতে পারে পাশাপাশি তাদের সমস্যা গুলো ও সমাধান করতে পারেচ্ছে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে পাঠদান গ্রহন করতে পারে তেমেনি ঘরে বসে অনলাইনের সাহায্যে পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারে। পাশাপাশি ঘরে বসেই ফলাফল জানতে পারে। এই ধারণাকে বলা হয় দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং



ইবুক কী

ইবুক এর পূর্নরুপ হলো ইলেকট্রনিক বুক। ইলেকট্রনিক বুক বলতে ডিজিটাল ফর্মে অথাৎ টেক্সট, চিত্র ইত্যাদি ডকুমেন্ট বইকে বুঝায় যা কোনো আধুনিক প্রযুক্তির তৈরি যেকোনো ডিভাইস  যেমন : কম্পিউটার, ল্যাপটাপ, ট্যাব, -বুক রিডার স্মার্ট ফোন ইত্যাদি ব্যবহার মাধ্যমে পড়া সম্ভব। প্রযুক্তিবিদ মাইকেল স্টার্ন হার্ট (১৯৪৭-২০১১) কে ইলেকট্রনিক বুক বা ই-বুক এর জনক বলা হয়। এই রকম ইবুকের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে অনলাইন ভিত্তিক লাইব্রেরি। যা বর্তমান সময়ের একটি যুগ উপযোগী আবিষ্কার। ই-বুক সম্পর্কিত কয়েটি বহুল প্রচলিত সাইট হলো www.ebook.gov.bd, www.nctb.gov.bd

শিক্ষায় জ্ঞানের ভান্ডর অসিম যার কোনো আদি-অন্ত নেই তাই শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও বিশাল,বিস্তীর্ন বর্তমান সময়ে গুগল কোম্পানির উইকিপিডিয়া গুরুত্ব পূর্ন ই-বুক, যা মুক্ত বিশ্বকোষ হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত  www.wikipedia.com


ই-লার্নিং

ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাই হচ্ছে ই-লার্নিং। সাধারন ভাবে বলা যায় আধুনিক প্রযুক্তির বিষেশ ডিভাইস সমূহ যেমন : স্মাট ফোন, টেব, কম্পিউটার, লেপটপ ইত্যাদির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের পরিবর্তে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ওয়েব এর সাহায্যে শিক্ষা কাযক্রম পরিচালনা করাই হলো ই-লানিং।

অনলাইন লাইব্রেরি কী

অর্থাৎ অনলাইন লাইব্রেরি বা ই-লাইব্রেরি হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ই-বুকগুলো সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে এবং একজন পাঠক একটি স্মার্ট ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোন বই পরতে পারে। অনলাইন লাইব্রেরির একটি বিশেষ সুবিধা হলো এটি বিশ্বের যেকোন ভৌগোলিক অবস্থান থেকে যেকোন সময় ইন্টারনেট এক্সেস করে বই পড়া যায় এবং একই সাথে একাধিক পাঠক একই বই পড়তে পারে।

 

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকাঃ

১. দক্ষ জনশক্তি গঠনঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষা শিক্ষার্থীরা গ্রহননের ফলে আজের শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর হয়চ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যপক্তার ফলে শিক্ষার্থীরা হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারনা নিতে পারচ্ছে।   

২. শিক্ষা উপকরণ তৈরি : শিক্ষণ-শিখন র্কাযক্রমকে বাস্তবায়ন ও আকর্ষনীয় করার জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এ সকল শিক্ষা উপকরন দিয়ে গতানুগতিক ভাবে পাঠদান পরিচালনা করতে আরো সহজত করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেমন: প্রজেক্টর এর মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্ট করে শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা।

 ৩. তথ্য সংগ্রহকরণ : আইসিটির শিক্ষার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার যেকোনো তথ্য অনলাইন হতে সংগ্রহ করতে পারছে।

 ৪. তথ্য ব্যবস্থাপনা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও পূর্বের সকল শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যেমন : ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, ফল তথ্য, সনদ সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি।

৫. শিক্ষকদের পেশাদারি দক্ষতা উন্নতি : পাঠদনের সংঙ্গে জড়িত বিষয় বস্তুর জ্ঞান অর্জন করা যায়,  নতুন নতুন পাঠক্রম তৈরি করতে সহজ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রস্তুত করে সহায়ক, শিক্ষকদের পারস্পারিক যোগাযোগ ও মতামত শেয়ার করা সম্ভব। 

 উদ্যোক্তা উন্নয়ন :

আইসিটির শিক্ষার গ্রহনের ফলে বহু শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হয়েউঠেছে উন্নয়নের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ নগদ, বিকাশ, কিউক্যাশ, ইউক্যাশ, মবিক্যাশ ইত্যাদির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত টাকা আদান প্রদানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের বহুমুখী ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পরিসেব গ্রহনের মাধ্যমে এই সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি ও প্রদান করতে সেবা সমূহ সহজতর করেছে।  ফলে মোবাইল ফোনের সেবা প্রদানে টাকা রিচার্জ করার জন্য প্রচুর লোকের কর্মসস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষিত বেকারগণ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সেবা পেয়ে নিজেদের সৃজনশীল উদ্যোগ বা ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন । ‘উবার, ‘পাঠাও ইত্যাদি অনলাইন ভিত্তিক সার্ভিসগুলোও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে । 

অনলাইন মাধ্যমে চাকরির সুযোগ :

বিভিন্ন অফিসে অফিসে ঘুরে চাকরি খোঁজার খবর রাখার দিন বাংলাদেশে ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। কেননা এখন ইন্টারনেট মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের সম্মেলন ঘটানো যায়। এ ধরনের বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টাল হলো- alljobs.teletalk.com.bd, bdjobs.com, ajkerchakri.com, everjobs.com প্রভৃতি। এসব ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সরকারি, বেসরকারি সব রকম চাকরির বিজ্ঞপ্তি তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব। এমনকি যে কেউ ঐ সমস্ত জব পোর্টালগুলোতে বিনামূল্যে সদস্য হয়ে এর মাধ্যমেই ঐ সমস্ত চাকরির জন্য দরখাস্ত করতে পারে ।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.