ই-মেইল | ভিডিও কনফারেন্সিং| টেলিকনফারেন্সিং | টেলিমেডিসিন | ফ্রিল্যান্সিং | আউটসোর্সিং |
এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে-
১। যোগাযোগ
সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
২। যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম গুলো
সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৩। ভিডিং কনফারেন্সিং কি
ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৪। টেলিকনফারেন্সিং সম্পর্কে
জানতে পারবে।
৫। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৬। আউপসোসিং ও ফ্রিল্যাসিং
সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
যোগাযোগ:
নির্ভরযোগ্য
কোনো মাধ্যমে তথ্যের বিনিময় অর্থাৎ আদান প্রদানকে বলা হয় যোগাযোগ এবং যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে
এক স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিবর্গ পরস্পরের সাথে দ্রুতগতিতে যোগাযোগ করতে পারে, তাকে
সাধারনত যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন সাধন করেছে, পাশাপাশি
সম্পূর্ন বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিনত করেছে |
যোগাযোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন–
১। মৌখিক যোগাযোগ- আধুনিক প্রযুক্তির স্মাট ফোন, হওয়াস্টআ্যাপ, ভাইবার, টেলিকনফারেন্সিং, স্কাইপি,
ভিডিও কনফারেন্সিং, ইমো,রেডিও, টেলিভিশন, ইত্যাদি।
২। অবাচনিক যোগাযোগ– মুখের
বা বিভিন্ন অঙ্গের অভিব্যক্তি, চোখের বা হাতের ইশারা ইত্যাদি।
৩। লিখিত যোগাযোগ- ই-মেইল বা ইলেক্ট্রনিক মেইল (E-mail/ Electronic Mail), ফেসবুক(Facebook),
ম্যাসেঞ্জার (Messenger), হওয়াস্টআ্যাপ (What’s App), এসএমএস(SMS-
Short Message Service), ফ্যাক্স ইত্যাদি।
বর্তমানে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যমগুলো হলো –
·
ই-মেইল
·
টেলি কনফারেন্সিং
· ভিডিও কনফারেন্সিং
ই-মেইল কি?
ই-মেইল হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল বা বৈদুতিক চিঠি । অর্থাৎ বৈদুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করার পদ্ধতি হচ্ছে ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল । ডাকযোগে চিঠি পাঠানোর জন্য যেমন একটি নিদির্ষ্ঠ ঠিকানা থাকতে হয়, ঠিক তেমনি ই-মেইল ব্যবহারকারী প্রত্যেকের অদ্বিতীয় ঠিকানা থাকতে হয়। উদাহরনঃ rajonroy12@gmail.com
ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক দূরুতে অবস্থান করে
দুই বা দুইয়ের অধিক ব্যাক্তি বর্গের সাথে টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রাংশ যেমন টেলিফোন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ব্যবহার করে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং
বলে। টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থায় কোনো
বক্তিবর্গকে সভায় সশরীরে উপস্থিত না থেকেই বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে উক্ত সরাসরি প্রযুক্তির মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহন করতে পারে। ফলে সময় ও অর্থ উভয় সাশ্রয়ী হয়। টেলিকনফারেন্সিং সাধারনত
দুটি প্রক্রিয়ায় করা যেতে পারে। যথা-
·
ভিডিও কনফারেন্সিং
·
অডিও কনফারেন্সিং
ভিডিও কনফারেন্সিং কী ?
টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দুই বা ততৌতধি ব্যাক্তি বর্গ ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থান করে যুগপৎ উভমুখী ভিডিও এবং অডিও শেয়ারিং পদ্ধতিতে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রক্রিয়া হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। স্কাইপী(Skype), ফেসবুক(Facebook), ম্যাসেঞ্জার (Messenger),গুগল মিট(Google meet),জুম (Zoom) ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।
ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তির সাহায্যে দুই বা ততোধিক ব্যাক্তিবর্গের সাথে যুগপৎ উভমুখী শুধুমাত্র অডিও শেয়ারিং পদ্ধতিতে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রক্রিয়াই হলো অডিও কনফারেন্সিং। ভিডিও কনফারেন্সিং এবং অডিও কনফারেন্সিং এর মধ্যে পার্থক্য হলো, ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ভিডিও এর পাশাপাশি অডিও শেয়ার হয় কিন্তু অডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র অডিও শেয়ার যায়। স্কাইপী, ফেসবুক মেসেঞ্জার, imo, WhatsApp, viber,উল্লেখযোগ্য মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও এবং অডিও কনফারেন্সিং করা যায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অগ্রগতি
ও এর ব্যবহারের ফলে দেশ, বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কর্মসংস্থানের নতুন
নতুন দার উন্মোচন করেছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশে বসে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ ঘটছে। চাকরির নির্ভরশীলতা কমছে। আধুনিক
প্রযুক্তি সম্পর্কে সক্ষমতা অর্জন করছে।
বর্তমানে সম্পূর্ন দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভরশীল হওয়ায়
সম্পূর্ন বিশ্বে কর্মসংস্থানের জন্য এখন আর অফিসে কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বা
সার্বক্ষণিক থাকার প্রয়োজন হচ্ছে না ফলে ঘরে বসেই ইন্টারন্টে অনলাইন ভিত্তিক
যেকোনো কাজ করা যায়। তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এক দেশের নাগরিক
ভিন্ন ভিন্ন দেশের ব্যাক্তি বা
প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দূরে থেকে ও কাজ করে থাকেন।
সাধারন ভাবে বালা যায় কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে তৃতীয় কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়াকে বলা হয় আউটসোর্সিং। এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন জব শেয়ারিং ওয়েবসাইটে (যেমন- upwork.com, fiverr.com, freelancer.com, microworkers.com, graphicfiver.com etc) তাদের জবগুলো পোষ্ট করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী
কোনো চুক্তি না করে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজের জ্ঞান, দক্ষতা,
ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে চাহিদা অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। এই ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন জব শেয়ারিং ওয়েবসাইটে (যেমন-
upwork.com, fiverr.com, freelancer.com, microworkers.com, graphicfiver.com etc) তার দক্ষতা অনুযায়ী জবের জন্য আবেদন করে থাকে।
যখন কোন ব্যাক্তি কোনো প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো ব্যাক্তিবর্গের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি না করে
বরং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে নিজের কর্ম-দক্ষতা-যোগ্যতা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক কাজ করে তখন তাকে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী বলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই