ই-কমার্সের ব্যবহার (Uses of E-commerce) :
১. অনলাইন পণ্য ও সেবা
ই-বুক, ডিজিটাল বুক, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, সিস্টেম সফটওয়্যার, টেস্টওয়্যার, ফার্মওয়্যার, মিডিলওয়্যার, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ, ডিভাইস ড্রাইভার, প্রোগ্রামিং টুলস ।
২. রিটেইল সার্ভিস: ভার্চুয়াল
ব্যাংক, ক্রেডিট ইউনিট, সনাতন পদ্ধতি (বিল পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, বিনিয়োগ, ঋণ), আধুনিক পদ্ধতি (লেনদেন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চেক), অন-লাইনের মাধ্যমে
পণ্য সরবরাহ, ক্রেডিট কার্ড, কুরিয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎসবে পণ্য সরবরাহ ।
৩. বাজারজাত সেবা : ব্যবসায় সম্পর্ক, নিলাম, অন-লাইন লিফলেট,
বিজ্ঞাপন, তুলনামূলক মূল্য সেবা ।
৪. মোবাইল বাণিজ্য : মূল্য পরিশোধ, অন-লাইন টিকেট,
ব্যাংকিং।
৫. ই-সংগ্রহ : ডাক-টিকেট, মুদ্রা, মনোগ্রাম ।
৬. বিক্রি ও পরিশোধ : গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন প্রভৃতি বিক্রি।
১.
দ্রুত লেনদেন অর্থাৎ অতি দ্রুত পণ্য পৌঁছানো যায় ।
২.
প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, বিজ্ঞাপন ব্যয় ও যোগাযোগ খরচ
কমায় ।
৩.
পণ্য বেচাকেনায় গতিশীলতা বাড়ায় ও দ্রুত তথ্য
আদান-প্রাদান করা যায় ।
৪.
বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি
আস্থা বাড়ে ও স্বল্প সময়ে
প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সম্ভব ।
৫.
ইলেকট্রনিক মাধ্যম যেমন: ই-ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং,
ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি লেনদেনে
নিরাপত্তা বজায় থাকে ।
৬.
মূল্য পরিশোধের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ডসহ বিভিন্ন ই-ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায় ।
৭. পণ্য হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধ করা যায়। এছাড়া এ ধরনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোন অফিসের প্রয়োজন হয় না ।
৮.
অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করা এবং মার্কেটিং করার সুযোগ রয়েছে।
৯.
ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করা সহজ ও লভ্যাংশের পরিমাণ
বেশি ।
১০.
ই-কমার্স বাজারে নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
ই-কমার্সের অসুবিধা :
১.
দক্ষ লোকবলের অভাব দেখা দেয়।
২.
দূরবর্তী স্থানের অর্ডার সরবরাহে সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
৩.
অতিরিক্ত অর্ডারের কারণে পণ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়।
৪.
প্রাথমিক খরচ ও নিরাপত্তার খরচ
বেশি হয়।
৫. ব্যবসায়ে আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
ওয়ারলেস
ডিজিটাল ডিভাইস ও ওয়ারলেস অ্যাপ্লিকেশন
প্রটোকলের (WAP- Wireless
Application Protocol) সাহায্যে
সরাসরি ইন্টারনেটে প্রবেশ করে ই-বিজনেস করাকে
মোবাইল কমার্স বা এম-কমার্স
(M-Commerce) বলে। মোবাইল কমার্স তারবিহীন প্রযুক্তি হিসেবে মোবাইল হ্যান্ডসেট বা পার্সোনাল ডিজিটাল
অ্যাসিস্টেন্ট (PDA) এর মাধ্যমে সম্পাদিত
হয় । তারবিহীন যন্ত্রপাতির
মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানে গতি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি
পেয়েছে ।
আমরা সবাই 'বার কোড' শব্দ দুটোর সাথে কম-বেশি পরিচিত। লক্ষ করলে দেখা যায়। দোকানে বিভিন্ন পণ্যের গায়ে কিছু লম্বা সাদা-কালো দাগ রয়েছে। এ দাগগুলোর নিচে কিছু সংখ্যাও রয়েছে। এগুলোই বার কোড। এ কোড পড়ার জন্য বার কোড রিডেবল মেশিন বা সফটওয়্যার দরকার হয়। আজকাল বিভিন্ন পণ্য ছাড়াও বইয়ের কভারে বার কোড ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। যা থেকে উক্ত বই সম্পর্ক নানান তথ্য পাওয়া যায়। বার কোডের অনেকগুলো সিস্টেম রয়েছে। যেমন- QR code, MAXI code, Code 39, Code- 128 ইত্যাদি এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কোড হলো Code-128 বার কোডের সাহায্যে পণ্যের নাম, প্রস্তুতকারীর নাম মূল্যসহ বিস্তারিত তথ্য জানা যায় ।
QR কোড বা কুইক রেসপন্স কোড এক ধরনের মেট্রিক্স বা 2D বারকোড যা প্রথমে জাপানের জনপ্রিয় অটোমোবাইল কোম্পানি টয়োটার অধীনস্থ ডেনসো ডিজাইন করে এবং তা পরে জাপান জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কুইক রেসপন্স কোড মূলত সাদা পদভূমিতে বর্গাকৃতির গ্রিড এ সুবিন্যাসিত কালো উপাদান (বর্গাকৃতির বিন্দু) যা ক্যামেরা দিয়ে পড়া যায় । কুইক রেসপন্স কোড এ সম্বেতাক্ষরে লিখা কোনো তথ্য নির্দিষ্ট করে চারটি নমুনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। যথা- সংখ্যাসূচক, বর্ণসূচক, বাইনারি (কম্পিউটার এর বাইনারি সঙ্কেত বা মেশিন ল্যাংগুয়েজ), কান্দজি (এক ধরনের জাপানি লিপিবিদ্যা যা চায়না থেকে গ্রহণ করা)। কুইক রেসপন্স কোড সাধারণ বারকোড, ইউ.পি.সি বারকোড এর তুলনায় ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এটার দ্রুত তথ্য পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা আর অনেক বেশি আকারে তথ্য ধারণ ক্ষমতার জন্য । মোবাইল ফোনের QR & Barcode Scan, QR Genscan অ্যাপস ব্যবহার করে সহজেই QR কোড তৈরি করা যায় এবং তথ্য পাঠ করা যায় ।
কোন মন্তব্য নেই