Header Ads

JAHANARA HUQ MOHILA COLLEGE

জাহানারা হক মহিলা কলেজ

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি | Virtual Reality

১৯৮০ সালের দিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী জেরুন লেনিয়ার (Jaron Lanier) সর্বপ্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয়, কিন্তু বাস্তবের চেতনার উদ্যোগকারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনা বাস্তব নয়, তবে বাস্তবের ধারণা সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন কল্পনা নির্ভর বিষয় অনুভব করার ত্রিমাত্রিক অবস্থা উপস্থাপনকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বা কল্প বাস্তবতা বলে। উইকিপিডিয়া অনুসারে Virtual Reality (VR) is a simulated experience that can be similar to or completely different fronm purposes. এটি মূলত the real world. Applications of virtual reality can include entertainment and educational কাল্পনিক মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করে বাস্তবতার জগতে হারিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ সংবেদনশীল গ্রাফিক্স তৈরির মাধ্যমে বাস্তবের ত্রিমাত্রিক অবস্থাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে উপস্থাপন ও অনুধাবন করাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রৰণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জগতে প্রবেশ করার জন্য ব্যবহারকারীকে বিশেষ ধরনের পোশাক ও যন্ত্র পরিধান করতে হয়। যেমন- ভার্চুয়াল মেশিন (Virtual Machine) বা কল্পিত কম্পিউটার প্রকৃতপক্ষে কল্পনার (Virtualization) ব্যবহারিক রূপ। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তবভিত্তিক বা ত্রিমাত্রিক রূপায়ন হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

I3 VR হলে Innersion (অবগাহন), Interaction ( মিথস্ক্রিয়া) ও Imagination ( কল্পনা জগ%) এর সমন্বিত রূপ। অর্থাৎ। VR হলো মানুষ কল্পনার জগতে নিজেকে অবগাহন বা নিমজ্জিত করে মিথস্ক্রিয়া করতে সমর্থন হন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ :

১. ইফেক্টর বা হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে: ইফেক্টর বা হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে হলো বিশেষ ধরনের ইন্টারফেস ডিভাইস যা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পরিবেশের সাথে সংযোগ সাধন করে। যেমন- হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, গ্লোভস, পোষাক বা স্যুট ইত্যাদি।

২. রিয়েলিটি সিমুলেটর: এটি এক ধরনের হার্ডওয়ার যা ইফেক্টরকে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করে। যেমনবিভিন্ন ধরনের সেন্সর, অডিও বা ভিডিও প্রসেসিং ডিভাইস ইত্যাদি

৩. ডেটা গ্লোভস : গ্লোভস দ্বারা প্রয়োজনীয় কমান্ড দেওয়া হয়। ভেটা গ্লোভস স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করে।

৪. বডি সুইট: বডি সাইটে ব্যবহৃত সেন্সরগুলো হতে সিমুলেশন প্রোগ্রামে অনবরত ডেটা পাঠাতে থাকে এবং সেই অনুযায়ী সামনের স্ক্রিনে পরিবর্তন আনে।

৫.অ্যাপ্লিকেশন: অ্যাপ্লিকেশন হলো এক ধরনের সফটওয়্যার বা সিমুলেশনের প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনা করে। এটি বিভিন্ন সিনেমা এবং ভিডিও গেমসে ব্যবহার করা হয়।

৬. জিওমেট্রি: জিওমেট্রি হলো ভার্চুয়াল পরিবেশের বিভিন্ন বস্তুর বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত তথ্য। মূলত কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বা ক্যাড সফটওয়্যার দিয়ে জিওমেট্রি তৈরি করা হয়।


ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি :

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—

১. শব্দ : ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক শব্দ যোগ করা যায়। এতে মনে হয় কোনো বিশেষ স্থান থেকে শব্দ উৎসরিত হচ্ছে। 

২. দৃষ্টি : দৃষ্টি- এই পদ্ধতিতে বহুমাত্রিক ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়। এতে ছোট আকারের পর্দা থাকে, যা গগলস অথবা হেলমেটের মধ্যে রাখা সম্ভব।

৩. মস্তিষ্ক: মানুষের মস্তিষ্ক এবং আচরণের উপর পরিচালিত গবেষণা কম্পিউটার জেনারেটেড ওয়ার্ল্ডকে নতুন উপহার দিয়েছে। আর ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রধান ধারণাগুলোর অন্যতম হলো পাঠ্যপুস্তক থেকে পড়ার চেয়ে মস্তিষ্ক ঐসব তথ্যকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে; যা দেখা যায়, শোনা যায় এবং স্পর্শ করা যায়।

৪. স্পর্শ: গ্লোভস কিংবা সংবেদনশীল ব্যবস্থা সংবলিত পুরো শরীরের পোশাক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জগতের একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত অবস্থার কাছাকাছি যেতে সাহায্য করে।


টেলিপ্রেজেন্স (Telepregence) : টেলিপ্রেজেন্সকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির একটি প্রয়োগ বলা যায়। বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়' এ শ্লোগানটি বাস্তবে রূপ দিতে এর প্রয়োগ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক দূর থেকে কাজ পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটি টেলিপ্রেজেন্স সম্পন্ন করে। দেশের সকল নাগরিক ও শিক্ষার্থীকে বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও তথ্য প্রদান এবং মহাকাশ বিজ্ঞান শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার-এ অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এখানে অর্ধ গোলাকৃতির ডোমে আছে বিমোহিত করার মতো অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি।

এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক প্রক্ষেপণ যন্ত্রপাতি, অ্যাস্ট্রোটেকের পারফোরেটেড অ্যালুমিনিয়াম পর্দা, গোটো'র জিএসএস হেলিয়াম স্পেন্স সিমুলেটর, বিভিন্ন স্পেশাল ইফেক্ট প্রজেক্টর এবং অ্যাস্ট্রোডিশন ৭০°-এর মতো মনোমুগ্ধকর প্যানোহেমিসফারিক প্রক্ষেপণ যন্ত্র। এখানে ডিজিটাল ফিল্ম দেখার পাশাপাশি, ক্যাপসুল রাইড সিমুলেটর, ডিজিটাল ও সায়েন্টিফিক এক্সিবিটস গ্যালারী, SD মুভি থিয়েটার, পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র রয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.