কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) :
মানুষ যেভাবে চিন্তা-ভাবনা করে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে সেভাবে চিন্তা-ভাবনার রূপদান করাকে Artificial Intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা। যেখানে, কতকগুলো সমষ্টিগত গুণ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুরণকৃত (সিম্যুলেট) করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
চিত্র : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হলেন অ্যালান টুরিং (Alan Turing) । ১৯৫০ সালে অ্যালান টুরি, তাঁর টুকি যুগান্তকারী পরীক্ষা প্রকাশ করেন এক কথায় টুরিং টেস্ট' এর মাধ্যমে কোনো যন্ত্রের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে কি-না তা জানা যায়। কোনো একটি যন্ত্র টুরিং টেস্ট উৎরে গেলে বলা যায়- যন্ত্রটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। অনন্য প্রতিভাবান অ্যালান টুরিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সাথে তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমাদৃত। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দরুন কম্পিউটারের ভাবনা-চিন্তাগুলো মানুষের মতোই হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence)
১। আর্টিফিসিয়াল ন্যারো ইনটেলিজেন্স
২। আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স
৩। আর্টিফিসিয়াল সুপর ইনটেলিজেন্স
আর্টিফিসিয়াল ন্যারো ইনটেলিজেন্স (Artificial Narrow Intelligence ANT) (Artificial General Intelligence- AG1) (Artificial Super Intelligence - ASI) আর্টিফিসিয়াল ন্যারো কাটেনিসে (Acilical Sarrow Intelligence- AND: যে মেশিন দাবা খেলতে পারবে, সে শুধু দাবাই ভালো খেলতে পারবে কিন্তু লুডু খেলা সহজ হলেও তাকে লুডু খেলতে দেওয়া হলে লুডু খেলতে পারবে না।
দাবা খেলায় কম্পিউটারকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু বলা হয়। কখন কোন চাল দিতে হবে তা দাবার প্রোগ্রামযুক্ত কম্পিউটার নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে । আইবিএম-এর ডিপ-বু সর্বপ্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন দাবা প্রতিযোগী যা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান দাবাড়ু গ্যারি ক্যাসপারভ-কে পরাজিত করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-এর প্রয়োগের ফলে কম্পিউটার বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত হয়।
আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স (Artificial General Intelligence AGI): এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বিতীয় ধাপ। এ ধাপে কম্পিউটার মানুষের মতো চিন্তা করতে, সমস্যা সমাধান করতে, পরিকল্পনা করতে এবং নতুন পরিবেশের সাথে মানিতা দুলার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
আর্টিফিসিয়াল সুপার ইনটেলিজেন্স (Artificial Super Intelligence -ASI): এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৃতীয় ধাপ। কম্পিউটার মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে চিন্তা করতে সমস্যার সমাধান করতে, জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করতে, তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। শাখাসমূহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রধান তিনটি শাখা হচ্ছে-
১. বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান (Cognitive Science),
২. রোবটিক্স (Robotics) ও
৩. ন্যাচারাল ইন্টারফেস (Natural Interface) |
কোন মন্তব্য নেই